স্মার্টফোনের দৌরাত্মের ফলে বর্তমানে গোটা বিশ্ব মানুষের মুঠোয় চলে এসেছে। আর স্মার্টফোনের যুগে সবচেয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার হলো সোশ্যাল মিডিয়া। যত দিন যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া তত মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠছে। বর্তমানে বহু মানুষ সারাদিনের কর্মব্যস্ততা দূর করে দিনের শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটু সময় কাটায়। ফলে মনোরঞ্জনের দিক থেকেও সোশ্যাল মিডিয়ার জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও বহু মানুষ এখন নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভাকে তুলে ধরছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিত্যদিনের বিভিন্ন খবরা-খবরের পাশাপাশি ভাইরাল হতে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের ভিডিও। যা মানুষকে আশ্চর্য করার পাশাপাশি বিনোদনের রসদ জোগায়। তবে সমস্ত ঘটনা যে আদতে সত্যি তা কিন্তু নয়। আর যার কারণ সোশ্যাল মিডিয়া ঘাটলেই প্রমাণ মেলে। সম্প্রতি সেরকমই একটি ঘটনা নেটিজেনদের মনকে ভীষণভাবে আকর্ষিত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও তুমুল ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি ডলফিন কিভাবে একটি কুকুরকে বাঁচতে সাহায্য করছে।
তবে আসল ঘটনা যাচাই ও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভুয়ো একটি ঘটনা। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া অবিশ্বাস্য এই ভিডিওটি একটি ডাচ চলচ্চিত্রের কাহিনী, যেখানে একটি শর্ট ফিল্মের একটা ছোট্ট ভিডিও ক্লিপ তুলে ধরা হয়েছিল। আর কেউ একজন এই ক্লিপটিকে ব্যবহার করে নিজের মত গল্প সাজিয়ে আপলোড করে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা রাতারাতি ব্যাপক ভাইরাল হয়ে পরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপের গল্প অনুযায়ী একটি কুকুর বাড়ি থেকে দূরে পালিয়ে যায় এবং ১৫ ঘন্টা ধরে অবিরাম খোঁজাখুঁজির পর তাঁর মালিক হতাশ হয়ে পরে। এরপর কুকুরটি সমুদ্রের পাড়ে চলে আসে এবং সমুদ্রের জলে ছিটকে গিয়ে পরে সমুদ্রের মধ্যে ও সাঁতার কাটতে থাকে। তারপর কিছু ডলফিন কুকুরটিকে দেখতে পেয়ে তাকে পিঠে করে বয়ে এনে সমুদ্রের পাড়ে ছেড়ে দেয়। যদিও ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই এই মনগড়া কাহিনীটিকে সত্যি ঘটনা ভেবে বিশ্বাস করে নেয়। কিন্তু ঘটনাটি কোনোরকম অলৌকিক ঘটনা নয় সম্পূর্ণ সাজানো একটি গল্প।