পৃথিবীর ভয়ঙ্কর সরীসৃপদের মধ্যে অন্যতম একটি সরীসৃপ হলো সাপ। এই নিষ্পাপ প্রাণীটিকে যতই নিরীহ প্রাণীর তকমা দেওয়া হোক না কেন সাপ কাউকে বাগে পেলে কখনোই ছোবল মারতে ছাড়ে না। তাই প্রতিটি মানুষই এই প্রাণীটি থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতেই পছন্দ করেন। আর সাপকে ভয় পায় না এমন মানুষ পৃথিবীতে হয়তো খুব কমই আছে। ভারতের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব দেখা যায়। এছাড়াও প্রতিবছর সাপের দংশনের ফলে মৃত্যু হয় বহু মানুষের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই বিভিন্ন রকমের পশু-পাখির ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে। যা দেখে আনন্দিত হন অনেকে আবার অনেকে আতঙ্কের শিকার হন। আর সেইসব পশু-পাখিদের ভিডিওর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপেদের ভিডিও। সম্প্রতি সেরকমই একটি সাপের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হয়েছে। আর যা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত নেটিজেনদের একাংশ।
জানা যায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির এই সাপটি কেউটে প্রজাতির। যা বিষধর সাপেদের প্রজাতির তালিকায় অন্যতম একটি প্রজাতি। এই সাপটির বিজ্ঞানসম্মত নাম কাউথিয়া (Naja Kaouthia)। মূলত কেউটে শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘কালকূট’ থেকে। যারা আক্ষরিক অর্থ তীব্র বিষ। এছাড়াও বাংলায় একে কেউটে, কাল কেউটে, পদ্ম খরিস বা কালো খরিস নামে ডাকা হয়। এই সাপের মধ্যে নিউরোটক্সিন ও কার্ডিওটক্সিন থাকে যার ফলে দ্রুত মানুষের মৃত্যু হতে পারে। মূলত গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী অঞ্চলে এই সাপের বিচরণ। তবে বিভিন্ন জীবনদায়ী ওষুধ তৈরিতে এই সাপের বিষ ব্যবহার করা হয়। তাই এই সাপের বিষের বিপুল চাহিদা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সাপের এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একটি গৃহস্থ বাড়ির রান্নাঘরের বাসনপত্রের ওপর ঘুরে বেড়াচ্ছে এই বিষধর সাপটি। আর যা দেখে রীতিমতো আতঙ্কের সৃষ্টি হয় সেই পরিবারে। তাই তারা তৎক্ষণাৎ খবর দেন মির্জা মোহাম্মদ আরিফ নামক এক সাপধরা ব্যক্তিকে। এরপর ওই ব্যক্তি সেখানে এসে সাপটিকে কৌটোবন্দী করে নিয়ে চলে যায়। প্রসঙ্গত ‘মির্জা মোহাম্মদ আরিফ’ একজন দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাপ ধরার লোক। এর পাশাপাশি তাঁর একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। যেখান থেকে তিনি বিভিন্ন সাপ ধরার ভিডিও শেয়ার করে থাকেন। আর এই ভিডিওটিও সেসব ভিডিওগুলির মধ্যে একটি।