যে শহরে বৃষ্টির পরিবর্তে আকাশ থেকে পড়ে শত শত মাছ!

প্রতি বছরই নির্দিষ্ট সময়ে আকাশ থেকে নামে মাছবৃষ্টি! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। মধ্য আমেরিকার হন্ডুরাসের ইয়োরো এলাকায় বছরে দুবার আকাশ থেকে ঝরে পড়ে শত শত মাছ।

আরও অদ্ভুত বি’ষয় হলো এই ইয়োরো এলাকা সমুদ্র থেকে অনেক দূরে। তবে এ ঘটনা এই এলাকায় মোটেই নতুন নয়। ১৮০০ সাল থেকে প্রত্যেক বছর মে থেকে জুন মাসের মধ্যে এমনটা হয়ে থাকে। এই অদ্ভুত ঘটনা লুবিয়া দে পেসেস নামে পরিচিত।

প্রত্যেক বছর মে থেকে জুন মাসের মধ্যে এখানে তীব্রগতিতে ঝড় ও বৃষ্টি হয়। ঝড়ের তীব্র গতিবেগের জন্যই শত শত মাছ রাস্তায় আছড়ে পড়ে। নানা রকম মাছে ভরে যায় রাস্তা। তবে এর পেছনে যথাযথ বৈজ্ঞানিক কারণ এখনো সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি।

পৃথিবীর আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় এই ধরনের বৃষ্টি হয়। কোথাও কোথাও মাছের স’ঙ্গে ব্যাঙও দেখা যায়। এমনকি কয়েকটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে কিছু জায়গায় সা’প, ইঁদুর, মাকড়সা, জেলিফিশসহ নানান রকমের জীব ঝড়ো হাওয়ায় রাস্তায় আছড়ে পড়ে।

তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই প্রাণীগু’লি মৃ’ত অবস্থায় এসে রাস্তায় পড়ে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে জীবিত অবস্থায় সা’প বা বড় মাকড়সা জাতীয় প্রাণী এসে পড়লে আতঙ্ক তৈরি হয়।

ইয়োরো এলাকার বাসিন্দারা যদিও আকাশের মেঘ দেখে আন্দাজ করতে পারেন কখন শুরু হবে তুমুল ঝড় এবং মৎস্য বৃষ্টি। ঝড় এতই তীব্র গতিবেগে হয় যে অদ্ভুত এক শব্দ তৈরি হয়। মনে হয় যেন আকাশ থেকে সোজা মাটিতে আছড়ে পড়ছে মাছ।

এখানকার বাসিন্দারা অনেকে মনে করেন যে এই ঘটনার পেছনে রয়েছে কোনো ধ’র্মীয় কারণ। প্রচলিত রয়েছে ১৮৫৬ -১৮৬৪ সালে এখানে একজন ক্যাথলিক প্রিস্ট ছিলেন। মানুষ সেসময় অনাহারে ভুগছিল।

তখন সেই প্রিস্ট ঈশ্বরের কাছে খাদ্যের জন্য প্রার্থনা করেন। আর তার পরেই এই অদ্ভুত কাণ্ড ঘটে। প্রচণ্ড ঝড় ওঠে এবং প্রায় আকাশ থেকে ঝরে পড়তে থাকে নানা রকমের মাছ। তারপর থেকেই প্রত্যেক বছর এই ঘটনার সাক্ষী থাকে এখানকার মানুষ। অনেকে আবার বলেন ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আট’লান্টিক মহাসাগর থেকে এই মাছগু’লো নাকি রহস্যজনকভাবে উড়ে এসে এখানে পড়ে।

About admin

Check Also

বাড়িঘর তলিয়ে নিয়ে গেল বন্যায়, বাড়ির উঠোন থেকে জাল দিয়ে বড় মাছ ধরলেন যুবক, ব্যাপক ভাইরাল ভিডিও।

নিজস্ব প্রতিবেদন: নদীমাতৃক আমাদের এই দেশ।এদেশে রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য নদী।এসব নদীতে রয়েছে হরেক রকমের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *