সম্প্রতি বিরল প্রজাতির শিশু হাঙর মাছ আবিস্কার করেছেন নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। এটি ঘোস্ট শার্ক বা ভূত হাঙর নামে স্বল্প পরিচিত, যারা মূলত সমূদ্রের ছায়াময় গভীরতায় বসবাস করে। এদের সাধারণত খুবই কম দেখতে পাওয়া যায়, সেখানে এদের বাচ্চাদের দেখা পাওয়া আরও অস্বাভাবিক। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়।
এটি চিমারা নামেও পরিচিত। দক্ষিণ দ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় পানির প্রায় ১.২ কি:মি: (০.৭ মাইল) নিচের থেকে এই সদ্যোজাত হাঙ্গরটি সংগ্রহ করা হয়েছে। এটিকে একটি ‘পরিচ্ছন্ন অনুসন্ধান’ বলে আখ্যায়িত করে, বিজ্ঞানীদলের ডক্টর ব্রিট ফানুচ্চি নামে বিজ্ঞানীদলের একজন সদস্য বলেন, পানির নিচের জনসংখ্যা সম্পর্কে গবেষণা করতে গিয়ে দূর্ঘটনাক্রমে এটিকে আবিস্কার করা হয়। গভীর জলের প্রজাতি সাধারণত খুঁজে পাওয়া কঠিন, বিশেষ করে ঘোস্ট শার্কের মতন রহস্যময় প্রজাতি।
জাতীয় জল এবং বায়ূমন্ডল গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা বলেন, বাচ্চা হাঙরটি সম্প্রতি ডিমের কুসুমে পূর্ণ ছিলো কারণ তার পেট ডিমের কুসুমে পূর্ণ ছিলো। এই হাঙরের ভ্রূণগুলি সমুদ্রের তলদেশে থাকে। ডিম ফোটার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগ পর্যন্ত এদের পেট কুসুমে পরিপুর্ণ থাকে।
ডা: ফিনুচি আরও বলেন, তরুণ ঘোস্ট শার্কেরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর এদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করতে থাকে। কিশোরেরা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বসবাস করতে পারে। প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে এদের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন হয়, এমনকি দেখতেও ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। ঘোস্ট শার্ক নিয়ে করা এই গবেষণার প্রথম পদক্ষেপ হবে বেবি হাঙরের প্রজাতি খুঁজে বের করে কিছু টিস্যুর নমুনা আর জিন নেওয়া।
এরা মূলত প্রকৃত হাঙর নয়, কিন্তু হাঙর এবং আলোর সাথে সম্পর্কিত একটি মাছের প্রজাতি। এরা কার্টিলাজিনাস, অর্থ এদের কঙ্কালগুলি মূলত তরুনাস্থি দিয়ে গঠিত যা এদেরকে একটি অদ্ভুর ইথারিয়াল বা অশরীরী হওয়ার গুণাগুন প্রদান করে। এরা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে গভীর সমুদ্রে বাস করে, কিন্তু হাতেগোনা কিছু প্রজাতি রয়েছে যারা অগভীর উপকূলীয় জলে থাকতে পছন্দ করে। সূত্র : রয়টার্স।