ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মরদেহের পাশে মিললো চিরকুট! যা লেখা ছিলো…

জামালপুরের মেলান্দহে ধর্ষণের শিকার এক স্কুলছাত্রী চিরকুটে ধর্ষকের নাম লিখে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে স্কুল যাওয়ার পথে বখাটে স্বপন তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পাশের গ্রামের এক বাড়িতে আটকে ধর্ষণ করে। বিকেলে বাড়ি ফিরে চিরকুটে ধর্ষকের শাস্তি দাবি করে নিজ ঘরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে ওই স্কুল শিক্ষার্থী।

স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শুক্রবার সকালে মেলান্দহ থানা ঘেরাও করে। পুলিশ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা। মেলান্দহ উপজেলার পূর্ব শাহজাতপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি আবু সাঈদের কন্যা আশা মনি। সে স্থানীয় মালঞ্চ এম এ গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্য বের হলে সাধুপুর কান্দারপাড়া গ্রামের খোকা মোল্লার পুত্র তামিম আহমেদ স্বপন নামে (৩০) এক বখাটে যুবক তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পাশের গ্রামের একটি বাড়ীতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। বিকেলে বাসায় ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় আশা মনি। পরে রাতে নিজ ঘর থেকে তার লাশ এবং লাশের পাশে থাকা চিরকুট উদ্ধার হয়।

চিরকুটে ধর্ষকের নাম উল্লেখ করে সে লিখে গেছে, অপমান সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। তামিম আহমেদ স্বপনকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শুক্রবার দুপুরে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে।

এলাকাবাসীর বক্তব্য, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের সবসময় উত্যক্ত করলেও প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য হওয়ায় বখাটে স্বপনের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পেত না।

স্থানীয় অভিভাবকরা বলছেন, স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় তারা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। নিজের সন্তানদের স্কুল কলেজে পাঠাতে নিরাপত্তার দাবি তাদের।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম ময়নুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ধর্ষক তামিম আহমেদ স্বপনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

About admin

Check Also

২০০ বছর বয়স, এখনো কয়েকশো ফল দেয় এই কাঁঠাল গাছ

পানরুটি শহরের কয়েক কিলোমিটার দূরেই মালিগামপাট্টু নামক গ্রামে রয়েছে একটি ঐতিহ্যবাহী কাঁঠাল গাছ। গাছটির বয়স …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *