টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে মানবন্ধন করাচ্ছে জায়েদ খান-বলেছেন নেটিজনরা। জায়েদ খানের একটি পোষ্টে নেটিজনদের মন্তব্য করতে দেখা যায়।সেই মন্তব্যগুলো এখানে দেখুন
জায়েদ খানের পোষ্টটিঃ
আজ রাজধানীর প্রেসক্লাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে জমি ও স্থাপনা দখলের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী কয়েকটি হিন্দু পরিবার।
শুধু জমি বা স্থাপনা দখলই নয়, জায়েদ খানের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি, গুম ও মানুষ পেটানোর অভিযোগও করেছে তারা। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
সমকালকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় জায়েদ বলেন, যে বিষয়টা আজ দেখলাম তা খুবই দুঃখজনক ও হাস্যকর। যারা নির্বাচনে আমাকে হারানোর জন্য হত্যা মামলার আসামি করতে চেয়েছিল তারাই আজ প্রেসক্লাবে এসব করিয়েছে। একটা পরিবারকে টাকা দিয়ে পিরোজপুর থেকে এনে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে যে আমি হিন্দু পরিবারের ক্লিনিক দখল করেছি।
জায়েদ আরও বলেন, ওই ক্লিনিক বা জমি কোনো কিছুর সঙ্গেই আমার সম্পর্ক নেই। আমার আপন মেজো ভাই ওই ক্লিনিকের অর্ধেকের মালিক। বাকি অর্ধেক কেনার জন্য ওই পরিবারকে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা জমি রেজিস্ট্রি না করে দিয়ে আমাদের ঘুরাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে চলমান আছে। ওই জমির মালিকানা নিয়ে আমার ভাই ও তাদের নিজস্ব সমস্যা এটি। এর সঙ্গে আমার কিছুই জড়িত নেই। সেখানে ইচ্ছে করে আমাকে জড়িত করা হচ্ছে। মানুষ কতটা নীচু হতে পারলে এ কাজ করতে পারে।
এদিকে মানববন্ধনে আসা ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন জায়েদ খান গং আমাদের বাড়ি ও জমি দখল করেছে। আমাদের মারধর করে বের করে দিয়েছিল। প্রতিনিয়ত আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। মামলা করায় সে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। আমাদের এখন গুম করার হুমকিও দিচ্ছে। আমরা এসবের বিচার চাই।
তারা আরও বলেন, ‘অন্তর জ্বালা’ সিনেমার শুটিংয়ের কথা বলে পিরোজপুর সদরে হিন্দুদের জমি ও ক্লিনিক দখল করে নিয়েছেন জায়েদ। এর সঙ্গে জড়িত আছেন জায়েদ খানের ভাই ওবায়দুল হক পিন্টু ও শহীদুল হক মিন্টু। ক্লিনিকটি ৪০ শয্যার।
অভিযোগকারীরা জানান, ২০১৬ সালের ২১ মার্চ রাত ২টায় পাঁচতলা ভবনের পঞ্চমতলায় জায়েদ খান ও তার কিছু অস্ত্রধারী লোক গীতা রানী ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালান। এ সময় তারা জোরপূর্বক টাকাপয়সা ও ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্স লুট করে নিয়ে যান। এসব লুট করার আগে জায়েদ খান গীতা রানীদের মারধর করেন এবং তার স্বামীকে পিটিয়ে ঝিনাইদহে রেললাইনের ওপর ফেলে রেখে চলে যান।
তাদের আরও অভিযোগ, এ বিষয়ে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ তিনি একটি এজাহার দায়ের করেছিলেন। এরপর থেকেই জায়েদ খান তাকেসহ তার পরিবারকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। এ ছাড়া পাঁচতলার বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।