চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সাধারণ সাম্পাদক পদ নিয়ে চলছে তর্ক-বির্তক। সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে জায়েদ-নিপুণের এ দ্বন্দ্ব উচ্চ আদালত পর্যন্ত গিয়েছে। শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি কে আসছে? তা এখন নির্ভর করে আদালতের রায়ের উপরে। এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন পীরজাদা শহীদুল হারুন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্য রাতে পীরজাদা শহীদুল হারুন নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্কিন শর্ট দিয়ে পোস্ট করা হয়। পোস্টে লিখেন নিপুন এসএমএস দিয়েছে বাতিল ভোট গুলো কাউন্ট করার জন্য। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণের এসএমএসের একটি স্কিন শর্ট ফেসুবকে পোস্ট করেন।
তাতে লিখেন, ‘যেহেতু নিপুন সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন যে, আমাকে তিনি বাতিল ভোটগুলো কাউন্ট করার জন্যে কোন sms দেননি, তাই ” সাক্ষ্য আইন ১৮৭২” অনুযায়ী ওটার প্রমান দেয়া আমার জন্যে “ফরজ” হয়ে দাঁড়িয়েছে- তা না দিলে সেটা আমার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে গন্য হবে।ডিএ তায়েফ ঐ সাংবাদিক সম্মেলনেই বলেছিলো প্রমান থাকলে দেখান- আমি সে কারনেই দেখালাম।
(( গোপনীয়তার জন্যে তার মোবাইল নাম্বার দেয়া হলো না,তবে যদি এটার প্রতিবাদ করা হয়,তাহলে মোবাইল নাম্বারযুক্ত sms প্রমান হিসেবে দেয়া হবে।))’
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সতিমির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে প্রথমে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে আপিল করে জায়েদ খানের পদ বাতিল করে, সম্পাদক পদে নিপুণকে ঘোষণা করে আপলি বোর্ড। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানির জন্য মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। নিপুণের আইনজীবীর আবেদনে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।