কথায় বলে ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। কর্নাটকে ফুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা এক বছর 26 শের যুবক। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে পেয়েছিলেন মোটা মাইনের চাকরি। কিন্তু সেই চাকরি ছেড়ে তিনি শুরু করলেন গোবর বিক্রি ব্যবসা। সেখান থেকে আজ তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক।
কিন্তু কীভাবে এমন চাকরি ছেড়ে এই ভিন্নধর্মী ব্যবসা চালু করার কথা মাথায় এলো তার। কি কি বাধা পেয়েছেন এই ব্যবসা করতে গিয়ে। ওই যুবকের নাম জয়গুরু আচার হিন্দ। একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি। আসলে তার ইচ্ছে ছিল কেবল নিজে নয় গ্রামের সকল মানুষকে স্বনির্ভর করবেন।
তাছাড়া পরের অনুগ্রহে চাকরি নয় নিজেই কোন কাজ করে দেখাবেন। দক্ষিণ কন্নড় ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি কলেজ থেকে বি টেক কমপ্লিট করেছেন তিনি। প্রথম বছরেই চাকরি পেয়ে যান। কিন্তু তার ভাগ্যে এই চাকরি ছিল না। সেই কারণেই তিনি বাড়িতে একটি ছোট ডেয়ারি খুলেছিলেন।
তার বাবা কৃষি কাজ করতেন তাই বাড়িতে দশটি গরু ছিল। মাত্র দুই বছর চাকরি করার পর তিনি ছেড়ে দেন। দুধের পাশাপাশি আখরোট এর ব্যবসা করতে শুরু করেন। গরুর গোবর থেকে যে টাকা আয় হয় তা কয়েকটি ভিডিওর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন। পাতিয়ালা থেকে তিনি গরুর গোবর শুকনো করার মেশিন কিনে আনেন।
প্রতি মাসে 100 ব্যাগ গোবর বিক্রি করতেন। যা তার আশপাশের গ্রামের মানুষ কিনে নিয়ে যেতেন। এরপর তিনি একটি মিশ্রণ বিক্রি করা শুরু করেন। গরুর গোবর এবং গরুর মূত্র দিয়ে এই মিশ্রণ তৈরি করা হতো। প্রতি লিটার আট থেকে এগারো টাকা দরে বিক্রি করা হয়। বর্তমানে আচারের বাড়িতে 133 টি গরু রয়েছে।
প্রতি মাসে তিনি 10 লক্ষ টাকা করে আয় করছেন। এখন আচার দুধের তৈরি বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেন। সেগুলোর খ্যাতি ছড়িয়েছে দেশ থেকে বিদেশে। আচারের দাবি নৈতিক দিক থেকে সৎ থাকলে এবং পরিশ্রম করলে নিশ্চয়ই সাফল্য পাওয়া যায়।