নিজের মা বাবাকে অবাক করল ১৩ বছরের বালক, পড়াশোনা ছেড়ে বানিয়ে ফেলল নিজের কোম্পানি

সাধারনত শিশুদের খেলনা নিয়ে খেলতেই দেখা যায়। আজকে এমন একটি শিশুর কথা আমরা জানবো যে পড়ালেখা ছেড়ে খেলনা নিয়ে না খেলে কম্পিউটার নিয়ে খেলে সাফল্যের উচ্চতা স্পর্শ করছে। আসলে আজকে (Innowebs Tech)-এর তানিশ মিত্তালের এর কথা আমরা জানতে পারবো। তানিশ মিত্তাল ৭ নভেম্বর ২০০৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ ছিল তানিশের। তানিশ ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার চেয়ে কম্পিউটারে বেশি আগ্রহী ছিল। তানিশ মিত্তাল হলেন (Innowebs Tech) নামে একটি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও।যেটি গত ৫ বছর ধরে এই কোম্পানিটি চালাচ্ছে। তানিশ অষ্টম শ্রেণির পরে স্কুল ছেড়ে দেয় এবং তারপরে কম্পিউটারে ওয়েব ডিজাইন এবং ফটোশপ ইত্যাদি করা শুরু করে।

তানিশ এত কম বয়সে ‘অ্যাডভান্সড পিজি ডিপ্লোমা লেভেল কোর্স ইন অ্যানিমেশন অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি’-এর মতো আরও অনেক কোর্স করেছেন। তানিশকের বাবা নিতিন মিত্তাল একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং তিনি বলেছেন যে মাত্র ৬ বছর বয়সে তানিশ কম্পিউটারের প্রাথমিক শিক্ষা নেয়।

তার ছেলের প্রতিভা দেখে, নিতিন তানিশকে স্কুল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সমর্থন করেছিলেন। ৮ম শ্রেণী নাগাদ তানিশ অনেক ধরনের সফটওয়্যারে কাজ শুরু করে। তিনি ওয়েব ডিজাইন, এথিক্যাল হ্যাকিং এর মত অনেক দক্ষতা শিখতে প্রস্তুত করেছেন।

৯ বছর বয়স পর্যন্ত, তানিশ ইন্টারনেটের সাহায্যে কম্পিউটারে অ্যানিমেশন, ভিডিও এডিটিং, ফটোশপ এবং অ্যানিমেশনের মতো অনেক কাজ সহজেই করতে পারত। তানিশের প্রতিভা দেখে তার বাবা নিতিনও খুব অবাক হয়েছিলেন। তিনি তানিশকে পৃথিবীতে একটি আলাদা পরিচয় দিতে চেয়েছিলেন।

অষ্টম শ্রেণী থেকে স্কুল ছাড়ার পর তানিশকে একজন পেশাদার প্রস্তুত করার জন্য একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। অল্প বয়সের কারণে তিনি কোথাও ভর্তি হতে পারেননি। কোথাও ভর্তি না হওয়ায় তানিশের বাবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কথা বলে তাকে ভর্তি করান।

আগে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোও তানিশকে তার কম বয়সের কারণে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তানিশের প্রতিভা দেখে সে মুগ্ধ হয়েছিল। তানিশ তার দক্ষতার কারণে (Innowebs Tech)নামে একটি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও হয়ে ওঠে।

About admin

Check Also

২০০ বছর বয়স, এখনো কয়েকশো ফল দেয় এই কাঁঠাল গাছ

পানরুটি শহরের কয়েক কিলোমিটার দূরেই মালিগামপাট্টু নামক গ্রামে রয়েছে একটি ঐতিহ্যবাহী কাঁঠাল গাছ। গাছটির বয়স …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *