কথায় আছে শখের দাম লাখ টাকা। শখ পূরণের জন্য মানুষ সব ধরণের চেষ্ঠায় করে থাকে। কেউ সফল হয়, আবার কেউ হয় না। আর সেটা যদি হয় সন্তানের শখ, তাহলে তা পূরণ করতে সবকিছু করতে পারে বাবা-মা। এবার ছেলের শখ পূরণের জন্য ৫ বছর ধরে জমানো ভিক্ষার টাকা দিয়ে দিলেন মা।
ছেলের শখ ছিল স্কুটার কেনার। সেই শখ পূরণ করেছেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরের পালপাড়া মোড়ে এক মোটরবাইকের শোরুমে। স্কুটার কেনার জন্য কয়েকটি প্লাস্টিকের বালতি ভর্তি কয়েন দিয়ে শো রুমে হাজির হয় রাকেশ পাঁড়ে নামে ওই ব্যক্তি।
বালতিতে এক, দুই, পাঁচ টাকার কয়েনের পাশাপাশি ছিল ৫০ ও ২০ পয়সার কয়েনও। এরপর গোণা শুরু হয় কয়েন গু’লো। ৭০ হাজার টাকার খুচরো গু’নতে বেশ সময় লাগে। এরপর শখের স্কুটার পান রাকেশ।
রাকেশ বলেন, সে ছোট থাকতেই তার বাবা মা’রা গেছে। মা ভিক্ষা করে দুই ছেলেকে বড় করেছেন। বড় ছেলে শ্বশুরবাড়িতে থাকে, মায়ের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ করেন। রাকেশ ছোট। তিনি সামান্য বেতনে কাজ করেন। ভিক্ষা করে কয়েন জমিয়েছিলেন মা। আর সে কয়েন তার হাতে দিয়ে মা বলেছেন, স্কুটার কেনার শখ মেটাতে।
তিনি আরও বলেন, আসলে আমা’র চেয়েও মায়ের বেশি শখ যে, ঘরে একটা স্কুটার থাক। অন্য সব কয়েন মা খরচ করে। শুধু এক টাকার কয়েন জমায়। এক টাকার কয়েন কেউ নিতে চায় না।
মোটরবাইকের শোরুমের মালিক সুব্রত ঘোষ বলেন, প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না, তিন বালতি কয়েক জমিয়ে যুবক স্কুটার কিনতে এসেছেন। আগে এমন ক্রেতা আমি আগে দেখিনি। সময় লাগলেও আমর’া ওই কয়েন নিয়ে গাড়ি ‘বিক্রি করছি।
নদিয়া ব্যাংক লিড ম্যানেজার তপু দত্ত বলেন, এক টাকার কয়েন অচল নয়। সবাই তা নিতে বাধ্য। সেটা কোনো ব্যাংক হোক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সূত্র: আনন্দবাজার