নিজস্ব প্রতিবেদন: আজকাল তো কেএফসি পিএফসি এর মত চিকেন ফ্রাই গুলো বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বা বাজারের দোকানগুলোতেও পাওয়া যায়। তবে কেএফসি চিকেন ফ্রাই গুলোতে কিন্তু আলাদা কোন বিশেষত্ব রয়েছে। আরে চিকেন ফ্রাই তৈরি করা খুব কঠিন কিছু নয়। শুধুমাত্র প্রয়োজন একটু ধৈর্য আর একটু সময়। সেইসাথে ওপর থেকে ক্রাঞ্চি আর ভেতর থেকে জুসি কেএফসি স্টাইল এর চিকেন ফ্রাই গুলো জন্য থাকছে এই ভিডিওতে অনেকগুলো টিপস।
তৈরি করে দেখানো হয়েছে এইচএসসি স্টাইলের পারফেক্ট ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন।উপকরণ:10 পিস চিকেন ,এক চামচ আদা বাটা ,এক চামচ রসুন বাটা ,2 টেবিল চামচ সয়া সস ,1 টেবিল চামচ ফিশ সস ,লাল মরিচের গুঁড়া ,লবণ ,এক চামচ গোলমরিচের গুঁড়া ,মিক্সড হার্স ,দুধ ,হোয়াইট ভিনেগার অথবা লেবুর রস ,ডিম ,কনফ্লাওয়ার ,ময়দা ,পাপ্রিকা গুড়া প্রস্তুত প্রণালীঃ চিকেন ফ্রাই তৈরি করার জন্য এখানে 10 পিস চিকেন নেয়া হয়েছে যা প্রায় 1 কেজি সমান আর এখানে লেগ পিস থাই উইংস পিস সব নিয়েছে আর যথাসম্ভব চামড়া।
সহ নিয়েছে। কারণ এসিসটেনের এই ফ্রাইড চিকেন স্কিন অন চিকেন ফ্রাইড বেশি টেস্ট।এতে করে ভেতরের জুসি আর উপরের ক্লান্তি ভাবটা ভালো আসে। এবার প্রথমেই চিকেন টাকে ম্যারিনেট করার জন্য দিয়ে দিতে হবে 1 চা চামচ আদা বাটা আর 1 চা চামচ রসুন বাটা।
আর দিয়ে দিচ্ছি 2 টেবিল চামচ সয়া সস। এখানে লাইট সয়াসস টা ব্যবহার করা হয়েছে। আর সাথে দিয়ে দিতে হবে 1 টেবিল চামচ ফিস সস। একচুয়ালি ফ্রাইড চিকেনে পারফেক্ট টেস্ট আনতে এই ফিস সস টা ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
এতে করে উপরের ক্রাঞ্চি ভাবটা খুব ভালো আসে। সামান্য লাল মরিচের গুঁড়া 1 টিজপুন এর মত দিয়ে দিন।আর দিয়ে দিচন হাফ টিজপুন লবণ। যেহেতু সয়া সস আর ফিশ সস এ লবণ আছে সেহেতু একেবারে লবণ না দিলেও হবে না সামান্য একটু লবণ দিতে হবে। ক্রাশ করে কালো গোল মরিচের গুঁড়া দিতে হবে 1 চা চামচ। এরপর দিতে হবে মিক্সট হার্স হাফ টেবিল চামচের মতো। আর এই মিক্সট হাস আপনি বাজারের যেকোন দোকানে বা সুপারশপে পাবেন।
কেএফসি চিকেন ফ্রাই গুলোতে এগারোটা শর্টকাট স্পাইস ব্যবহার করা হয় আর তার শর্টকাট ওয়েব হচ্ছে এই মিক্সচার ব্যবহার করা।এই নেক্সট হারবে অনেকগুলো স্পাইস দেওয়া থাকে। সব মশলা গুলোর সাথে চিকেন টার সাথে ভালোভাবে মাখাতে হবে। এমনভাবে মাখাতে হবে যেন মসলাগুলো চিকেনের গায় ভালোভাবে মিশে যায়। প্রতিটা চিকেনের গায় হাত দিয়ে ভালোভাবে মসলা লাগাতে হবে। এই কাজটা হাত দিয়ে করাই ভালো তবুও যদি চান আপনারা গ্লাভস করে নিতে পারেন।
আর সবচেয়ে ভালো হয় ম্যারিনেট করা চিকেন টা যদি আপনারা ওভারনাইট রেখে দিতে পারেন। আর যদি হাতে সময় না থাকে সে ক্ষেত্রে কমপক্ষে 1 ঘন্টা রাখতে হবে। ওভারনাইট ম্যারিনেট করলে অবশ্যই চিকেন তা ফ্রিজের নরমাল টেম্পারেচার রাখবেন। এরপর চিকেন তাকে রেখে দিন এক ঘন্টার জন্য।চিকেনটা ডাবল কোটিং করার জন্য বাটার মিল্ক এর প্রয়োজন হবে। তাই নিয়ে নিতে হবে এক কাপ ফুল ক্রিম নরমাল টেম্পারেচার দুধ। আর দুধ টা হবে কাঁচা দুধ। এখন দুধের সাথে দিয়ে দিন 1 টেবিল চামচ হোয়াইট ভিনেগার।
তবে আপনারা চাইলে এখানে হোয়াইট ভিনেগার এর পরিবর্তে লেবুর রস টাও দিতে পারেন। তবে সমপরিমাণ। একটু মিক্স করে এটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিতে হবে 20 মিনিটের জন্য। আর লাগবে রুম টেম্পারেচারে রাখা একটা ডিম। এবার ডিমটাকে একটা কাটা চামচ দিয়ে খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। এখানে ডিমের সাথে কোনরকম লবণ বা গোলমরিচ ব্যবহার করবেন না। লবনটা দিলে ডিমটা থেকে পানি বের হতে শুরু করবে।আপনারা চাইলে এখানে বাহির থেকে কেনা বাটার মিল্ক টাও ব্যবহার করতে পারেন।
এবার বাটার মিল্ক এর সাথে ছিটিয়ে রাখা ডিমটা দিয়ে দিন। এবার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তবে কেএফসি স্টাইলে চিকেন ফ্রাই চাইলে বাটার মিল্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। এবার চিকেনের কোচিং এর জন্য শুকনো উপকরণগুলো চেলে নিতে হবে। প্রথমেই চেলে নিন হাফ কাপ কর্নফ্লাওয়ার। আর সাথে দিতে হবে সাড়ে তিন কাপ ময়দা। সাথে দিয়ে দিন 1 চা চামচ পরিমাণ পাপ্রিকার গুড়া আর 1 চা-চামচ গোলমরিচ গুঁড়া। আরও লাগবে হাফ চা চামচ মরিচের গুঁড়া। আর সাথে দিন 1 চা চামচ পরিমাণ লবণ।
এবার সব উপকরণ গুলো কে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার মেরিনেট করা মাংস গুলো আবার হাত দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। এখন এক পিস করে মাংস নিয়ে ময়দার ভিতরে ভালোভাবে কোটিং করে বাটার মিল্ক এ চুবিয়ে আবার ময়দা তে কোটিং করতে হবে। অবশ্যই কাজটি ধৈর্যসহকারে করতে হবে।
এরপর চিকেন গুলোর রিপ্লাই করতে হবে। এর জন্য অবশ্যই চিকেন গুলো ডুবো তেলে ভাজতে হবে। ব্যাস হয়ে গেল রেস্টুরেন্ট স্টাইলে কেএফসি এর মত চিকেন ফ্রাই। চিকেন ফ্রাই বানানোর এই ভিডিওটি যদি ভালো লাগে তাহলে আমার সাথে থাকতে পারেন এমন নতুন নতুন আরো ভিডিও পাওয়ার জন্য।