গত বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় জাহিদুল ইসলাম নামের এক বখাটে যুবকের অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন কাকলী আক্তার (১৮)। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আগামীকাল সোমবার তাঁর বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল। আজ রোববার ছিল তার গায়ে হলুদ। কিন্তু তার আগেই সকালে শরীয়তপুর পৌরসভার চর পালং গ্রামের বাড়িতে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে।
এ ঘটনায় কাকলীর ভাই বাদী হয়ে অভিযুক্ত জাহিদুলকে আসামি করে পালং মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন। কাকলীর পরিবার ও পালং মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, চর পালং গ্রামের দুবাই প্রবাসী নুরুজ্জামান মাতবরের মেয়ে কাকলী আক্তার শরীয়তপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার দাখিল শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। জেলা সদরের কাশাভোগ গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে তাঁকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বাধ্য হয়ে মেয়েকে দ্রুত বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কাকলীর পরিবার।
আজ কাকলীর গায়েহলুদ ও আগামীকাল বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি বখাটে জাহিদুল। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে চর পালং গ্রামের কাকলীদের নির্মাণাধীন বাড়ির পেছনের জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন জাহিদুল। পেছন দিক থেকে ছুরি দিয়ে কাকলীর গলায় আঘাত করেন। চিৎকার করলে কাকলীর মুখে ও পেটে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন।
চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে ছুটে এসে কাকলীকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে অচেতন অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা অবস্থায় আজ ভোর ৬টার দিকে মারা যান কাকলী।