কারাগারে মিন্নি ভালো নেই। সেখানে খেতে পারে না, ঘুমাতে পারে না। সব সময় অসুস্থ থাকে। তার শরীরে নানা অসুখ বাসা বেঁধেছে…

স্বামী শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে হ’ত্যায় মৃ’ত্যুদ’ণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বর্তমানে কাশিমপুর মহিলা কারাগারের কনডেম সেলে ব’ন্দি আছেন। পরিবারের দাবি, কারাগারে ভাল নেই মিন্নি। নানা অ’সুথ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। সরাসরি সাক্ষাৎ না হলেও টেলিফোনে পরিবারের সাথে সপ্তাহে একদিন কথা হয় তার। তাকে এখন চেনাই দুষ্কর। তার মৃ’ত্যুদ’ণ্ডের বি’রুদ্ধে আপিল করলেও করো’নার কারণে উচ্চ আ’দালতের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে আপিলের কোন অগ্রগতি নেই।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা শহরের সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কু‌‌’পিয়ে হ’ত্যা করা হয় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন তারই স্ত্রী’ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। পরবর্তীতে মিন্নিই হয়ে যান মা’মলার অন্যতম আ’সামি। কারণ তার পরিকল্পনাতেই প্রে’মিক নয়ন ব’ন্ড হ’ত্যা করেছিল স্বামী রিফাতকে। পরে ওই বছরের ২ জুলাই পু’লিশের সাথে ব’ন্দুকযু’দ্ধে নি’হত হন নয়ন ব’ন্ড।

রিফাত শরীফ হ’ত্যাকা’ণ্ডে দায়ের করা মা’মলায় ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনা জে’লা ও দায়রা জজ আ’দালত মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃ’ত্যুদ’ণ্ডের আদেশ দেন। আ’দালতের আদেশের পর বরগুনা জে’লা কারাগার থেকে মিন্নিকে নেওয়া হয় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে। সেখানে কনডেম সেলে অবস্থান করছেন মিন্নি।

নিম্ম আ’দালতের দেওয়া মিন্নির মৃ’ত্যুদ’ণ্ডের রায়ের বি’রুদ্ধে আপিল করেছে তার পরিবার। করো’নার কারণে উচ্চ আ’দালত বন্ধ থাকায় আপিল শুনানি হয়নি। তবে করো’না পরিস্থিতি স্বভাবিক হয়ে আসায় আ’দালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপিলের শুনানি নিষ্পত্তি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা ।

কারাগারের একটি সূত্র জানায়, কারাগারের কন্ডেম সেলে সুস্থ আছে মিন্নি। কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী মৃ’ত্যুদ’ণ্ডপ্রাপ্ত আ’সামিরা সাধারণত কনডেম সেলে একা থাকে। কিন্তু কাশিমপুর মহিলা কারাগারে অ’তিরিক্ত কয়েদি থাকায় একটি কনডেম সেলে তিনজনকে রাখা হচ্ছে। কারাগারের ওই সূত্রটি জানায়, করো’নার কারণে কয়েদিদের সাথে সাক্ষাত একেবারেই বন্ধ রয়েছে। তবে প্রতি সপ্তাহে পরিবারের সাথে টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ আছে। মিন্নি পরিবারের সরাসরি সাথে সাক্ষাত করতে না পারলেও টেলিফোনে কথা বলেন প্রতি সপ্তাহে।

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কি’শোর ঢাকা’টাইমসকে বলেন, কারাগারে মিন্নি ভালো নেই। সেখানে খেতে পারে না, ঘুমাতে পারে না। সব সময় অ’সুস্থ থাকে। তার শরীরে নানা অ’সুখ বাসা বেঁধেছে। অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে মিন্নি। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার কারণে তাকে চেনাই এখন দুষ্কর।

তিনি বলেন, ওর দাঁতে ব্যাথা ছিল। শুনেছি কারাগারের চিকিৎসক তার দাঁত তুলেছে। দাঁতের ব্যাথার জন্য তাকে দুই থেকে তিনবার কারাগারের বাইরেও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিম্ম আ’দালতে ফাঁ’সির আদেশ দেওয়ার তিন থেকে চারদিনের মধ্যেই আম’রা আপিল করেছি। করো’নার কারণে আ’দালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কোন অগ্রগতি নেই।

আ’লোচিত এই হ’ত্যাকা’ণ্ডে মিন্নি ছাড়াও অন্য যারা ফাঁ’সির আদেশ পেয়েছেন তারা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইস’লাম সিফাত, মো. রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকট’ক হৃদয় ও মো. হাসান। খালাস পেয়েছেন মো. মু’সা, রাফিউল ইস’লাম রাব্বি, মো. সাগর ও কাম’রুল হাসান সাইমুন নামে চারজন

About admin

Check Also

২০০ বছর বয়স, এখনো কয়েকশো ফল দেয় এই কাঁঠাল গাছ

পানরুটি শহরের কয়েক কিলোমিটার দূরেই মালিগামপাট্টু নামক গ্রামে রয়েছে একটি ঐতিহ্যবাহী কাঁঠাল গাছ। গাছটির বয়স …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *