সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৩০ জুন গ্যাসের গড়মূল্য ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ায় বিইআরসি। তাতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৭ টাকা ৩৮ পয়সা থেকে বেড়ে ৯ টাকা ৮০ পয়সা হয়। আবাসিক গ্রাহকদের এক চুলার জন্য মাসে ৭৫০ টাকার পরিবর্তে ৯২৫ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
শ্রীগ্রই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বার্ক)। তবে এই দাম বৃদ্ধি যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, এ বিষয়ে কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির টিকাটুলির জোনাল অফিস পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,গ্রাহক অসন্তোষ যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার কাজ করছে। মূল্য অবশ্যই সহনীয় পর্যায়ে রাখা উচিত। তিনি আরও বলেন, এখন বিপিসির ডিজেলেই প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। জ্বালানির অপচয় কমাতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখা হবে। এছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জোনাল অফিস পরিদর্শনের সময় ফাইল ও অফিস ব্যবস্থাপনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি আরও বলেন, অটোমেশনে দ্রুত যেতে হবে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য, তেলের মূল্য, প্রিপেইড মিটার, গ্যাস পাইপ লাইন ও গ্যাস পাইপের লিকেজ, গ্যাসের অপচয়, বকেয়া বিল, তিতাসের দুর্নীতি ইত্যাদি বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে।